বিদ্যালয়ের ইতিহাস
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষা নদীর পূর্ব তীরে শস্য শ্যামল সবুজে ঘেরা ছোট্ট একটি গ্রাম যাহার নাম পূবেরগাঁও। এই গ্রামেরই কৃতি সন্তান বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান যিনি অন্ধকার অবস্থাকে শিক্ষার আলো দিয়ে আত্র এলাকার মানুষ জীবনকে আলোকিত করেছেন।পবিত্র হাদিস
শরীফে ইরশাদ হয়েছে, প্রত্যেক নর নারীর জন্য বিদ্যা অর্জন করা ফরজ। শিক্ষা মানব জাতির জন্য অপরিহার্য একটি বিষয় । সভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম এবং জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌছে দিতে শিক্ষাই হলো একমাত্র বাহক। পূবেরগাঁও এলাকার মানুষ ছিল শিক্ষা বঞ্চিত। এমন একটি নিভৃত পল্লীতে পূবের গাও গ্রামের কৃতি সন্তান ও শিক্ষা দরদী বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। সেই লক্ষে পূবের গাও গ্রাম সহ আশেপাশের সকল গ্রামের নেতৃত্ব স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে ০১ জুলাই ১৯৮৭ খ্রি: রোজ বুধবার সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় করাটিয়া পূবেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় বিভিন্ন প্রকার আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করেন। অতপর বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান সাহেব ঘোষনা করলেন আগামী শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে অর্থাৎ ০১ জানুয়ারি ১৯৮৮ খ্রি: রোজ শুক্রবার সকাল ০৮:০০ ঘটিকার সময় হতে নির্মানধীন বিদ্যালয়টি চালু করা হবে। সেই লক্ষে পাঠদানের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগসহ ছাত্র ছাত্রী ভর্তি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল কার্য সম্পন্ন করেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা এলাকার মানুষকে সুশিক্ষিত ও সভ্য জাতি হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধানকে পৃষ্ঠপোষক ও জনাব প্রকৗশলী আব্দুস সাত্তারকে আহ্বায়ক করে ১০ (দশ) সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যগন হলেন (১) জনাব প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার (২) এ্যাডভোকেট তারাজউদ্দীন (৩) জনাব মো: আব্দুস সাত্তার ওরফে চাঁন মিয়া (৪) জনাব মো: আব্দুল কাউয়ুম (৫) জনাব মো: মহিউদ্দীন (৬) জনাব মো: আরমান মিয়া (৭) জনাব মোহাম্মদ আলী ভূইয়া (৮) জনাব মতিউর রহমান মোল্লা (৯) জনাব মো: গিয়াস উদ্দীন এবয় (১০) জনাব মো: শহিদুল্লাহ ভূঁইয়া।
উক্ত পরিচালনা কমিটি বিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষে তৎকালীন শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর ম্যানেজিং কমিটির বিধি মোতাবেক অনুর্ধ্ব ০৯ (নয়) সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহ কমিটি গঠন করা হয়। যা পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিচালনা কমিটি হিসাবে অনূর্ধ্ব ০১ (এক) বছর কাজ করেন। বিদ্যালয়টির পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তহবিল সংগ্রহ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান সাহেবকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় এবং সে মতে তিনি অর্থ তহবিল সংগ্রহ করে প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টির গৃহ নির্মান, বিদ্যালয়ের আনুসঙ্গিক জিনিস পত্র সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল কার্যাদি সম্পন্ন করেন। এতে কমিটির সকল সদস্য পৃষ্ঠপোষক বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান ও আহ্বায়ক জনাব প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার সাহেবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর থেকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীরমুক্তি যুদ্ধা জনাব প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান ও আহ্বায়ক জনাব প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার সাহেব সম্মিলিত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন পূর্বক পূবেরগাঁও গ্রাম সহ আশেপাশের সকল গ্রামের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়টি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন। অতপর বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য সঠিক ও সুষ্ঠু ভাবে শিক্ষার মান উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যান। বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে ৩১/১২/১৯৮৮ পর্যন্ত একাডেমিক স্বীকৃতি এবং ০১/০১/১৯৮৯ থেকে ৯ম শ্রেণী খোলার একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ০১/০৭/১৯৯৩ ইং তারিখ হতে বিদ্যালয়টি এম পি ও ভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ খ্রি: প্রতিষ্ঠিত নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় টি আজ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক কর্যক্রমে রূপগঞ্জ উপজেলার মধ্যে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।